পরিচিতি: | আমিন জুয়েলার্স লিমিটেডএর চেয়ারম্যান। এছাড়াও প্রাইম ব্যাংকের ডাইরেক্টর। সোনার বংলা ইন্সুরেন্স এবং সিটি হাসপাতালের উপদেষ্টা এবং চেয়ারম্যান হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। ফরিদপুর-১ থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৪০ সালের ১৬ অক্টোবর ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার বানা ইউনিয়নের গড়ানিয়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত কাজী পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা মরহুম কাজী ওয়াহেদ দীর্ঘ দিন উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং মাতা আমেনা খাতুন। কাজী সিরাজুল ইসলামের ব্যক্তি জীবনে দুই পুত্র এবং দুই কন্যা সন্তানের জনক। |
|||
---|---|---|---|---|
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থান: | আমিন জুয়েলার্স লিঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে আধুনিক ও অন্যতম জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান। পাঁচ দশক ধরে দেশের স্বর্ণ শিল্পের শীর্ষস্থানটি দখল করে রেখেছে আমিন জুয়েলার্স লিমিটেড। |
|||
ব্যবসার শুরু: | ১৯৬২ সালে একটি রিকশা কিনে শুরু করেন ব্যবসা জীবনের পথ চলা। প্রতিদিন ৬ টাকা ভাড়া পেতেন রিকশা থেকে। লাভের টাকা গুছিয়ে কিনলেন আরো একটি রিকশা। দুটি রিকশা থেকে দিনে ১২ টাকা ভাড়া পেতেন। বছর ২ পরে ১৯৬৪ সালে মাত্র ৪ হাজার টাকা সম্বল করে তৎকালীন সময়ের জেবা জুয়েলারীর সাথে পার্টনারশীপ ব্যবসায় যোগ দেন। নিজে কিছু করার অদম্য ইচ্ছে মনে রেখে আরো কিছু টাকা জামিয়ে তৎকালীন সময়ের বড় দোকান অলংকার নিকেতন এর সাথে যোগ দিলেন। তখন পুঁজী মাত্র ২০ হাজার টাকা। এভাবেই বছর ২ কাটালেন। ১৯৬৬ সালে মাত্র ১ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে বায়তুল মোকাররমে একটি দোকান নিলেন নিজে ব্যবসা করবেন বলে। পুঁজী কম কিন্তু তাই বলে দমে জাননি। এসময় সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন আত্মীয় স্বজনেরা। দোকান সাজিয়ে নেবার জন্য প্রায় ১০০ ভরি স্বর্ণ তিনি পেলেন পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে। শর্ত এসব গয়নার একটিও বিক্রি করা যাবে না। কাষ্টমারদের আকর্ষন করার শর্তে দোকান সাজিয়ে নিতে পারবেন। ব্যাস সেই শুরু আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। |
|||
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: | নিজের এলাকার প্রতিটি মানুষের শিক্ষা নিশ্চিত করতে চান। এই জন্য এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন ৬ টি হাই স্কুল, ১ টি মাদরাসা, ১ টি হোমিও প্যাথিক কলেজ, ১ টি মহিলা কলেজ এবং ১ টি পাঠাগার। তিনি স্বপ্ন দেখেন নিজের এলাকায় একটি মেডিকেল কলেজ করার। |
সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে। কিন্তু শিক্ষিত এসব মানুষের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে না তেমন কেউ। বেকারত্ব বাড়ছে গাণিতিক হারে। আর তাই চাকরির বাজারে ঘুরে ঘুরে হতাশায় ডুবে যাচ্ছে তরুণ সমাজ। বুদ্ধি আছে, শ্রম দেওয়ার ইচ্ছা আছে কিন্তু পথ চেনা নেই। তাই শ্রমশক্তির অপচয় হচ্ছে নানা সামাজিক অপরাধের মধ্য দিয়ে। পরিবারেও বাড়ছে অশান্তি। মুক্তির পথ জানা নেই, কিন্তু মুক্তি চাই। আমরা luckyideabd.com জানাচ্ছি আপনাকে সেই হতাশার জগৎ থেকে মুক্তির পথ। আমাদের ভুবনে আপনাকে স্বাগত।
আরো পড়ুন