১০০ কাগজের প্যাকেট তৈরিতে খরচ হবে ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রি করা যায় ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা।

ঘর (ভাড়া বা নিজস্ব), কাগজের নরম বোর্ড, বড় কাঁচি, কড়াই, কাঠের তক্তা (জ্বাল দেওয়ার জন্য), কাগজ, চিকন রশি ও আঠা।

জুতার বাক্সের ক্ষেত্রে কাগজের নরম বোর্ড ২ ফুট বাই ২ ফুট সাইজের করে কেটে নিতে হয়। এরপর আঠা দিয়ে লাগিয়ে জুতার বাক্স তৈরি করা হয়। প্যাকেটের সৌন্দর্য বাড়াতে বাইরের খসখসে অংশটুকু রঙিন কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়। সাধারণত বাক্সের দুটি অংশ থাকে। একটি ঢাকনা, অন্যটি বাক্স। জুতার মাপ অনুযায়ী বাক্সের সাইজও ভিন্ন হয়। আর কাগজের প্যাকেট তৈরি করতে বাজার থেকে পাউন্ড হিসেবে গ্রে কালারের কাগজ কিনে নিতে হবে। কাগজ সাইজ অনুযায়ী কেটে নিয়ে আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিলেই হয়। প্যাকেটের নিচের অংশ শক্ত করতে আঠা দিয়ে কাগজের বোর্ড লাগিয়ে দিতে হয়। ব্যাগ ধরার সুবিধার জন্য ব্যাগের উপরিভাগে দুটি চিকন রশি লাগিয়ে দিতে হয়।

পলিথিন ব্যাগ পরিবেশবান্ধব নয় বলে সব মানুষই কাগজের প্যাকেটের দিকে ঝুঁকছে। ওষুধের দোকান, কনফেকশনারি, মুদি দোকানসহ এখন শপিং মলগুলোতেও কাগজের প্যাকেটের চাহিদা রয়েছে। অন্যদিকে জুতার প্যাকেটের চাহিদা বর্তমান সময়ে মফস্বলের খুচরা জুতাবিক্রেতার কাছেও রয়েছে। কাগজের প্যাকেট পাউন্ড হিসেবে বিক্রি হলেও জুতার প্যাকেট বিক্রি হয় শতক হিসেবে।

বিশেষ কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। একজন দক্ষ কারিগরের কাছে দুই থেকে পাঁচ দিন প্রশিক্ষণ নিয়েই প্যাকেটে তৈরি করা যায়। শ্রমিক নিয়োগ দিয়েও কাজ করানো যায়।