সম্ভাব্য পুঁজি: | ১০০০০০০০ টাকা থেকে ১০০০০০০০ টাকা পর্যন্ত | |||
---|---|---|---|---|
সম্ভাব্য লাভ: | মাসে ১০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। |
|||
সুবিধা: | মূলত গাছপালা, শুকনো ডালপালা বা কাঠ থেকে জৈব জ্বালানি এর উৎপাদন প্রক্রিয়াকে পাইরোলাইসিস পদ্ধতি বলা হয়।পাইরোলাইসিস একটি তাপ-রাসায়নিক প্রক্রিয়া , যা অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে উচ্চ তাপমাত্রায় কঠিন জৈববস্তুকে তরলে পরিনত করে । অনেকক্ষেত্রে পাইরোলাইসিস বর্জ্য নিষ্কাশনের সহজ উপায় হিসেবে বিবেচিত হতে পারে এবং যার মাধ্যমে জৈব জ্বালানি শক্তি পাওয়া যায় । আমাদের চারপাশে ফেলে দেয়া বর্জ্য থেকে খুব সহজেই জ্বালানি উৎপাদন সম্ভব।কাঁচামালের যোগান সহজ। |
|||
প্রয়োজনীয় উপকরণ: | গাছ কাটার পরে এর অপ্রয়োজনীয় অংশ যা দ্বারা তক্তা বা কাগজ তৈরি সম্ভব নয় সে সব (যেমন গাছের মুড়া বা গোড়া, ছোট শাখা, ডাল-পালা) অংশ তেল উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। |
|||
প্রস্তুত প্রণালি: | প্রথমে গাছের অংশ বা কাঠকে সালফিউরিক এ্যাসিডে চুবিয়ে এর থেকে সেলুলোজ দানাগুলোকে পৃথক করতে হবে। এর ফলে শক্তি উৎপন্নকারী জৈব এ্যাসিড মিক্চার তৈরি হবে। এরপর এই মিক্চারকে ক্যালসিয়াম হাইড্রোজাইড সহকারে ৪শ` ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার চুল্লিতে উত্তপ্ত করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় এর থেকে অক্সিজেন অপসারিত এবং হাইড্রোকার্বন লিকুইড তৈরি হবে যা অপরিশোধিত তেল হিসেবে গণ্য হয়।পরীক্ষাগারে বায়ুশূন্য চুল্লীতে ২৭০º -৩০০º সে. তাপমাত্রায় বর্জ্য উপাদান যেমন কাঠের গুঁড়া বা কুচিকে অবিরত তাপ প্রদান করলে জৈব তেল এবং জৈব গ্যাস উৎপন্ন হয়। এজন্য চুল্লীতে ক্রমাগত ১৫º সে./মিনিট হারে তাপমাত্রা বজায় রাখতে হয় । স্থানীয়ভাবে তৈরী করা স্টীলের বায়ুশূন্য চুল্লীটি লম্বায় ১২” ও চওড়ায় ৯” । চুল্লীটির সাথে কনডেনসার বা শীতলীকারক ব্যবহার করলে জৈব তেলের তুলনায় বেশি পরিমানে জৈব গ্যাস পাওয়া যায় । যদি চুল্লিতে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি করা যায় তবে প্রাপ্ত তরলের পরিমান আরও বৃদ্ধি পাবে । আমরা প্রাপ্ত জৈব তেলকে পাতন প্রক্রিয়ায় জলীয় বাস্পশূ্ন্য করে ২য় স্তরের তেল পাই যা যেকোন যান্ত্রিক যান বা যন্ত্রকে চালু রাখতে সক্ষম । পাশাপাশি প্রাপ্ত জৈব গ্যাসকে সরাসরি জ্বালানী গ্যাস হিসেবে ব্যবহার করা যায়। যদিও ধীরগতির এই প্রক্রিয়ায় ৬০০º সে. এর বেশি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব না এবং এটি একটি উচ্চ বিনিয়োগের পদ্ধতি । তবুও তুলনামূলক সহজ এই পদ্ধতিতে ভালমানের জৈব জ্বালানী পাওয়া সম্ভব । এটা প্রকৃতিবান্ধবও । |
|||
বাজারজাতকরণ: | দেশের তেলের বাজারে এই তেল বিক্রি করা সম্ভব । এমনকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব । |
|||
যোগ্যতা: | উৎপাদন প্রক্রিয়ার ব্যাপারে অভিজ্ঞ লোক প্রয়োজন । প্রয়োজনে বিদেশ থেকে লোক আনাতে হবে । আমাদের দেশে আহছানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্ররা ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষার মাধ্যমে বর্জ্য থেকে সর্বোচ্চ পরিমানের জ্বালানীযোগ্য তেল ও গ্যাস উৎপাদন করার চেষ্টা করছে । প্রাথমিক পর্যায়ে সফলও হয়েছে। অাগ্রহীরা এ বিষয়ে বিম্তারিত জানতে আহছানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। |
সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে। কিন্তু শিক্ষিত এসব মানুষের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে না তেমন কেউ। বেকারত্ব বাড়ছে গাণিতিক হারে। আর তাই চাকরির বাজারে ঘুরে ঘুরে হতাশায় ডুবে যাচ্ছে তরুণ সমাজ। বুদ্ধি আছে, শ্রম দেওয়ার ইচ্ছা আছে কিন্তু পথ চেনা নেই। তাই শ্রমশক্তির অপচয় হচ্ছে নানা সামাজিক অপরাধের মধ্য দিয়ে। পরিবারেও বাড়ছে অশান্তি। মুক্তির পথ জানা নেই, কিন্তু মুক্তি চাই। আমরা luckyideabd.com জানাচ্ছি আপনাকে সেই হতাশার জগৎ থেকে মুক্তির পথ। আমাদের ভুবনে আপনাকে স্বাগত।
আরো পড়ুন