সম্ভাব্য পুঁজি: | ১০০০০০০০ টাকা থেকে ৫০০০০০০০ টাকা পর্যন্ত | |||
---|---|---|---|---|
সম্ভাব্য লাভ: | মাসে ৫০ লাখ টাকা থেকে কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। |
|||
সুবিধা: | ৫০ মেগাওয়াটের একটা প্লান্টের জন্য এক একর জমিতে উৎপাদিত পাথরকুচিই যথেষ্ট। এছাড়া এই প্রযুক্তির সবচেয়ে বড সুবিধা হলো দীর্ঘ সময় একটানা ব্যবহারের পরও ভোল্টের কোন পরিবর্তন হয় না। এছাড়াও পাথরকুচি পাতা থেকে খুব কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যবহার করা যায়। সাধারণ বিদ্যুতের ক্ষেত্রে গ্রাহককে প্রতি ইউনিটের জন্য মূল্য দিতে হয় ৬ থেকে ১০ টাকা। সেখানে পাথরকুচি পাতা থেকেেপাদিত বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে মাত্র ১ টাকায় যাতে খরচ হবে মাত্র ১২ কোটি টাকা। পাথরকুচির পাতা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে এনার্জিব বাল্ব, ফ্যান, টেলিভিশন ও পিকেএল রেফ্রিজারেটর চালানো যায়। |
|||
প্রয়োজনীয় উপকরণ: | পাথরকুচি গাছ , প্লান্ট তৈরির মেশিন, লোকবল, জমি। |
|||
প্রস্তুত প্রণালি: | পাথরকুচি দিয়ে প্লান্টের সাহায্যে প্রথমে মন্ড তৈরি করতে হবে। এই মন্ড আয়রন ও ক্লোরিনসমৃদ্ধ। মেশিনের সাহায্যে আয়রন ও ক্লোরিনের বিকিৃয়ায় ডিসি বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। পরে এই ডিসি বিদুৎ কে কনভার্টার দিয়ে এসি বিদ্যুৎতে রূপান্তরিত করা হয়। ৫০ মেগাওয়াটের একটি পাথরকুচির বিদ্যুৎ প্লান্ট বানাতে প্রয়োজন হবে ১ কোটি টাকার মতো। যেখানে ৫০ মেগাওয়াটের একটি গ্যাসভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ প্লান্ট বানাতে ১৫০ কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। দেশিও পদ্ধতি হলো ব্লান্ডার মেশিনে পাথরকুচি পাতাকে জুস বানিয়ে কাচের বা প্লাস্টিকের পাত্রে ঢেলে ডিসি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। ডিসি বিদ্যুৎ এসিতে রূপান্তর করে এই বিদ্যুৎ দিয়ে সকল যন্ত্রাপাতি চালানো যায়। |
|||
বাজারজাতকরণ: | বিদ্যুৎের চাহিদা সবসময়ের জন্যই রয়েছে। এই বিদ্যুৎ দিয়েও সকল যন্ত্রাপাতি চালানো যায়। সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে এই প্রক্রিয়াকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে পারলে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। |
|||
যোগ্যতা: | পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. কামরুল আলম খান সিলেটের কাইনাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রামে প্রাথমিক পর্যায়ে পাথরকুচি গাছের পাতা থেকে বিদ্যুৎ তৈরির প্লান্ট করেছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে এই গ্রামের ৫৭ টি পরিবারকে এই বিদ্যূৎের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আগ্রহীরা এখানে যোগাযোগ করতে পারেন। |
সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে। কিন্তু শিক্ষিত এসব মানুষের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে না তেমন কেউ। বেকারত্ব বাড়ছে গাণিতিক হারে। আর তাই চাকরির বাজারে ঘুরে ঘুরে হতাশায় ডুবে যাচ্ছে তরুণ সমাজ। বুদ্ধি আছে, শ্রম দেওয়ার ইচ্ছা আছে কিন্তু পথ চেনা নেই। তাই শ্রমশক্তির অপচয় হচ্ছে নানা সামাজিক অপরাধের মধ্য দিয়ে। পরিবারেও বাড়ছে অশান্তি। মুক্তির পথ জানা নেই, কিন্তু মুক্তি চাই। আমরা luckyideabd.com জানাচ্ছি আপনাকে সেই হতাশার জগৎ থেকে মুক্তির পথ। আমাদের ভুবনে আপনাকে স্বাগত।
আরো পড়ুন