মোটামুটিভাবে সবাই জানে নাম করা এবং অধিক মুনাফা পাওয়া প্রতিষ্ঠাগুলোতে বেতন-ভাতা, বোনাস এবং পারফরম্যান্সে এলাউন্স অনেক বেশি থাকে। তাই এসব কোম্পানীতে কাজ পাওয়ার চাহিদাও বেশি থাকে কর্মীদের। ছোট কোম্পানীতে কাজ করারও পরও মাথায় পুষে রাখে আহা যদি ওমুক প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারতাম। খুব ভাল হতো। এটা কর্মী স্তরের সবার স্বপ্ন। বড় কোম্পানী থেকে ডাক পড়লে এক মুহুর্তও দেরি করে না এসব কর্মীরা। কিভাবে কাঙ্খিত প্রতিষ্ঠানে যাবে তা নিয়েই উৎসুক হয়ে থাকে। শ্রমিকের যোগান অফুন্ত হওয়ার কারণে ছোট কোম্পানীগুলো এব্যাপারে কোন কৌশল-ই নিতে চায় না।
তারা ভাবে না হুটহাট করে ভালো কর্মী চলে গেলে প্রতিষ্ঠান অনেক বেশি বেকায়দায় পড়ে। এভাবে দক্ষ কর্মীরা হুটহাট চলে গেলে ছোট প্রতিষ্ঠান অনেক সময় লোকসান দিতে দিতে বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। যেহেতু এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দেশে অনেক বেশি, তাই এটা অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। শ্রমিক মালিক ই শুধু নয় এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুরো দেশ। দেশে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যাদের রযেছে কর্মী ধরের রাখার সুনাম। ফলে তারা অপেক্ষকৃত ছোট কোম্পানী হলেও তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মীরা যায় না বললেই চলে। এখানে একটা বিষয় খেয়াল করলে স্পষ্টই চোখে পড়বে, ওইসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মধ্যে স্বল্প পরিসরেও বেতন বোনাস নিয়ে তুষ্টি আছে। তাই তারা বড় কোম্পানীগুলোতে যেতে লাফঝাপ একটু কম করে থাকেন। মনোযোগ দিয়ে কাজ করেন।
পক্ষান্তরে যোগ্যতানুযায়ী বেতন ভাতা এবং অন্য সুযোগ সুবিধা না দেওয়ার কারণে কর্মীরা সবসময় পালাই পারাই করছে। এতে করে প্রতিষ্ঠান বঞ্চিত হচ্ছে কর্মীর মনোযাগ। কাজ থেকে। উন্নয়ন, মুনাফা এবং বিনিয়োগ নিরাপদ করতে সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত হল প্রতিষ্ঠান যত বড় বা ছোটই হোক না কেন বেতন কাঠামোর একটা স্ট্যান্ডার্ড থাকতে হবে। ব্যাপারটি এমন হওয়া উচিত যে, কম মুনাফা ও কম জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান গুলোতে কর্মরত কর্মচারীরা অবশ্যই অধিক জনপ্রিয় এবং অধিক মুনাফার অধিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মতোই বেতন ভাতা দেবে। এতে তারা যেমন তাদের কাজকে বিশেষ গুরুত্ব দিবে, পরিশ্রম করবে। কোম্পানীর উন্নয়নে কাজ করবে। মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলবে অন্য প্রতিষ্ঠানে ঠাঁই করে নেয়ার চিন্তাকে।
এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারলে কম মুনাফা সম্পন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোও সহজে দাঁড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে শুধু কোম্পানীর মালিকেরা নয় পুরো জাতি লাভবান হবে। আমাদের দেশের মতো উন্নয়নশীল কিছু দেশে এই পদ্ধতি চালু করলে সহজেই দেশ পৌঁছে যাবে উন্নয়নের দোর গোড়ায়।
সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে। কিন্তু শিক্ষিত এসব মানুষের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে না তেমন কেউ। বেকারত্ব বাড়ছে গাণিতিক হারে। আর তাই চাকরির বাজারে ঘুরে ঘুরে হতাশায় ডুবে যাচ্ছে তরুণ সমাজ। বুদ্ধি আছে, শ্রম দেওয়ার ইচ্ছা আছে কিন্তু পথ চেনা নেই। তাই শ্রমশক্তির অপচয় হচ্ছে নানা সামাজিক অপরাধের মধ্য দিয়ে। পরিবারেও বাড়ছে অশান্তি। মুক্তির পথ জানা নেই, কিন্তু মুক্তি চাই। আমরা luckyideabd.com জানাচ্ছি আপনাকে সেই হতাশার জগৎ থেকে মুক্তির পথ। আমাদের ভুবনে আপনাকে স্বাগত।
আরো পড়ুন