২১ নভেম্বর, ২০২৪
দক্ষতা
কর্মীদের কাজের গতি বাড়াতে ভালো কাজের প্রশংসা করুন
কর্মীদের কাজের গতি বাড়াতে ভালো কাজের প্রশংসা করুন

যে কোন সময় অকারণেই আপনার একজন সহকর্মী কাজে অমনোযোগী হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় একই ধরনের  কাজ করতে করতে একঘেঁয়ে লাগতে পারে। অথচ কিছুদিন আগেও আপনার অধীনস্থ এই সহকর্মী সবচেয়ে বেশি তড়িৎকর্মা ছিলেন। অন্যদের কাজ করাতে আপনি বার বার তার উদাহরণ দিতেন। কিন্তু এখন সে ঠিকমতো কাজ করছে না। অমনোযোগী হয়ে পড়ছে। তখন কি হয়? সাধারণত অফিসের বড় কর্মকর্তারা এবং যারা কাজ মনিটর করেন, তারা নানাভাবে এই সহকর্মীকে বকাঝকা করেন। একসময় যারা কাজে দক্ষ ছিল না, তারাও সমালোচনা করতে শুরু  করেন। এতে হিতে কেবল বিপরীতই হয়।

করপোরেট এই দুনিয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অফিস ম্যানেজম্যান্ট এ ধরণের সহকর্মীর বিষয়ে সরাসরি নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। কখনো কখনো দেখা যায় সহকর্মীর সুবিধা অসুবিধার কথা বিবেচণা না করেই হঠাৎ তাকে  চাকুরীচ্যুতির চিঠি ধরিয়ে দেন।

এমন পরিস্থিতিতে কিন্তু দুই পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একজন দক্ষ লোককে বাদ দিলে তা অফিসের জন্য কখনোই ভালো হয় না। আর যাকে চাকরি থেকে বাদ দিচ্ছেন তার ক্ষতির তো ইয়ত্তা নেই। তাই এ বিষয়ে মানবিক এবং বাস্তবিক পন্থা গ্রহণটাই কাম্য।

অফিসের প্রধান কর্মকর্তার কাছে যদি কেউ এ ধরনের সমস্যা নিয়ে আসেন এবং কোন সহকর্মীকে বাদ দেয়ার প্রস্তাব দেন সেটিকে অবশ্যই নাকচ করে দিন। সবাইকে বলুন তাকে বুঝিয়ে যেন আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়।

এবার অফিসের প্রধান হিসেবে বা মালিক হিসেবে আপনি নিজেই তার সাথে আলোচনায় বসুন। অফিস শেষে যদি সম্ভব হয় কোন রেস্টুরেন্টে আর না হয় একটু নিরিবিলি সময়ে আপনার অফিস কক্ষে বসুন। হতে পারে দুপুরের খাবারসহ। আর সম্ভব না হলে বিকেলের নাস্তার আয়োজন থাকতে পারে ছোট্ট পরিসরে।

প্রথমে তার সঙ্গে সমসাময়িক বিষয়, অফিসের কি অবস্থা নিয়ে আলোচনা করুন। এসব আলোচনায় যদি তিনি একেবারেই অমনোযোগী হন, তবে বুঝতে হবে কোন সমস্যা হচ্ছে। আপনি এবার তার শরীর, পরিবারের কথা জিজ্ঞেস করুন। তাতেও যদি দ্যাখেন কোন সমস্যার কথা বের হচ্ছে না। তখন আপনি কৌশল অবলম্বন করবেন। হঠাৎ করেই বলতে পারেন, আপনি যে কোন সমস্যা আমাকে জানাতে পারেন। কারণ আপনার প্রতি আমার অনেক বেশী আস্থা।

আপনি আপনার সহকর্মীকে বলবেন, আপনি এই প্রতিষ্ঠানের শ্রেষ্ঠকর্মী বলে আমি মনে করি। আপনার মত দক্ষ ও যোগ্য কর্মী খুব কমই আছে। আপনাকে দেখিয়ে আমি অন্যদের কাজ করাই। অন্যরাও আপনার কাজে অনুপ্রাণিত হয়। আর আমি নিজেও মাঝে মাঝে আপনার নিষ্ঠা, দক্ষতা এবং গতি দেখে মুগ্ধ হই। আমি কিছুতেই আপনার মতো একজন অফিস সহকারিকে হারাতে চাই না। কিন্তু গত কয়েকমাস থেকে লক্ষ্য করছি আপনি ঠিক মতো মনোযোগ দিতে পারছেন না। দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে এমন হয়। তাই গত কয়েকমাস আমি এ ব্যাপারে কিছুই বলিনি। ভাবলাম আপনি হয়তো কোন সমস্যা পড়েছেন। সময় নিয়ে একা একা সামলে নেবেন।

এখন মনে হচ্ছে, হয়তো আপনি একা সামাল দিতে পারছেন না। তাই ভাবলাম আমি নিজে আলোচনা করে আপনাকে সহযোগিতা করি। আপনাকে নিয়ে অফিসের কম দক্ষ ও কমযোগ্য লোক সমালোচনা করুক প্রশ্ন করুক এটা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারি না। আপনার মতো একজনকে আমি হারাতেও চাই না। কারণ আপনার মতো সহকর্মী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। এভাবে তার কাজের কিছু বাস্তব প্রশংসা করতে পারেন। গল্পের শেষ পর্যায়ে একটু স্বাভাবিক হাস্যরস করে শেষ করুন। পারলে তাকে কোন উপহার দিন কিংবা কেনাকাটার জন্য কিছু টাকা দিন।

পরদিন সকালেই দেখবেন সে আবার আগের  উদ্যেমে ফিরে এসেছে। তারমধ্যে যে জড়তা ছিল, সেটি কেটে গেছে। সে আগের চেয়ে অনেক বেশি তৎপর হয়ে কাজ করছে। কেন এই পরিবর্তন? কারণ  এটি মানুষের স্বভাব। সুনাম করা হলে, সে তখন এক ধরনের আনন্দ পায়। বিশেষ করে বসের সুনাম আরও বেশি তাকের প্রতি উৎসাহি করে তোলে। নিজের মধ্যে ওই গুন (যে বিষয়ে তাকে প্রশংসা করা হলো) না থাকলেও সে আপ্রাণ সেটি অর্জনের চেষ্টা করে। আর তাই কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে কাজ আদায় করতে চাইলে উল্টো নিজেকে হতাশ হতে হয়। এভাবে অভিযুক্ত হতে হতে সে এক সময় সব কাজের স্পৃহা হারিয়ে ফেলে। নিজেকে অকর্মন্য করে ফেলে। আপনি আপনার কর্মজীবনে এই প্রক্রিয়াটা অবলম্বন করে দেখুন ভালো ফল পাবেন। একজন অফিস কর্মচারির বিগত দিনের কাজের দক্ষতা ও সুনাম করে যদি আপনি তাকে অবসাদ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন তাহলে দুই দিক থেইে লাভ। এক হলো একজন মানুষকে আপনি তার কর্মগতি ফিরিয়ে দিতে পারলেন। তারমতো একজন ভাল কর্মীকে আপনার হারাতে হলো না। প্রশংসা করিয়ে কাজ আদায় করা একটি মহৎ বিষয়। আপনি এটি প্রয়োগ করেই নিজেই বুঝতে পারবেন কত ভালভাবে আপনি আপনার অবসাদগ্রস্ত কর্মীদের গতি ফিরিয়ে আনতে পারছেন। এরপর তারাও আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে দুঃসময়ে পাশে থাকলেন বলে।

আমাদের বিষয়ে
about-us

সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে। কিন্তু শিক্ষিত এসব মানুষের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে না তেমন কেউ। বেকারত্ব বাড়ছে গাণিতিক হারে। আর তাই চাকরির বাজারে ঘুরে ঘুরে হতাশায় ডুবে যাচ্ছে তরুণ সমাজ। বুদ্ধি আছে, শ্রম দেওয়ার ইচ্ছা আছে কিন্তু পথ চেনা নেই। তাই শ্রমশক্তির অপচয় হচ্ছে নানা সামাজিক অপরাধের মধ্য দিয়ে। পরিবারেও বাড়ছে অশান্তি। মুক্তির পথ জানা নেই, কিন্তু মুক্তি চাই। আমরা luckyideabd.com জানাচ্ছি আপনাকে সেই হতাশার জগৎ থেকে মুক্তির পথ। আমাদের ভুবনে আপনাকে স্বাগত।

আরো পড়ুন
Other

Welcome to www.Luckyideabd.com This is the first time the world has seen a free webpage for business idea. We are working on the connection of your job and passion Build up your prosperous future according to your endeavour. ability and fondness Chose your own focus.

Welcome to www.Luckyideabd.com This is the first time the world has seen a free webpage for business idea. We are working on the connection of your job and passion Build up your prosperous future according to your endeavour. ability and fondness Chose your own focus.