সবকিছু ঠিকঠাক। চাকুরীর পেছনে আর ঘোরাঘুরি নয়। এবার মনস্থির ব্যবসা করার। পুঁজি, মানসিক প্রস্তুতি, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি ও বন্ধু-স্বজনদের সমর্থন সবই হলো।কিন্তু কি করবো তারই কোন ধারণা নেই। করবো করবো করেও আর কিছুই করা হচ্ছে না। অভিনব কিছু করার তাগাদায় দু একজন যাও বা শরু করেন তা খুব কমই সাফল্যের মুখ দেখে। অভিনব কিছু করার তাগাদা নিয়ে কাজ শরু করলেও শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়নের নানা ঝুঁকিতে এসে তা আর আলোর মুখ দেখতে পায়না। নতুন একটি আইডিয়াকে বাস্তবায়নের জন্য যতটুকু প্রস্তুতি দরকার তা না থাকাটাই মূলত এসব ব্যর্থতার জন্য দায়ী।
কিন্তু সারা পৃথিবীর সফল ব্যবসায়ীরা কখনোও অভিনব ভাবনাকে (আইডিয়া) অবজ্ঞা করেননি। কিংবা অভিনব ধারনাকে পাশ কাটিয়ে চলতেও চাননি । তারা শুরু করতে চেয়েছেন পুরনো ভাবনাকে নতুন করে সাজিয়ে নিয়ে। যা আসলে পুরনো পথে নতুন করে চলার মতো। অর্থাৎ ব্যবসার ক্ষেত্রে এমন সব ধারনা বাস্তবায়ণ করতে হবে, যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষীত, টিকে রয়েছে সফলতার সঙ্গে। শুরুতেই নতুন এক্সপেরিমেন্ট একেবারেই না। সবার আগে যে যে ব্যভসাই রুন না কেন তা ভালো করে বুঝতে হবে, হƒদয়াঙ্গম করতে হবে। কেননা ধারনা সম্পর্কে পরিস্কার হওয়া গেলে তাতে ভুল হওয়ার আশঙ্কাও কম থাকবে।
তাহলে কি, একজন তরুন ব্যবসায়ী বাজারে টিকে যাওয়া ব্যবসাটিতেই নতুন করে পুঁজি বিনিয়োগ করবেন? পুরনো সফল ব্যবসা নতুন নাম দিয়ে করবেন? সফল ব্যবসায়ীদের অবিজ্ঞতা বলে হ্যাঁ, তিনি তাই করবেন। তবে তাকে পুরনো পথে নয়, পুরনো ব্যবসাকে নতুন পথে, নতুন ভাবে নতুন কৌশলে চালাতে হবে।
এই জন্য ব্যবসা শুরু করা আগে উদ্যক্তাকে ব্যবসার মৌলিক উপাত্তগুলো ভালো করে জানতে হবে। সেই ব্যবসায় সফল প্রতিষ্ঠানগুলোর ইতিবৃত্তান্ত সংগ্রহ করতে হবে। সফলতার সবল দিকগুলো নির্ণয় করতে হবে। সেটি নিজের করা উচিত বলেও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারপর তাকে যেতে হবে সেই সব প্রতিষ্ঠানে, যারা এই ব্যবসা করতে গিয়েই ব্যর্থ হয়েছে। সে ব্যর্থতার দিকগুলো চিহ্নিত করতে হবে। সেগুলো নিজের জন্যও করা উচিত হবে না বলে স্থির বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। তারপর সফলতা ও ব্যর্থতার কারণগুলো যোগ বিয়োগ করে, নতুন ধারনা দাঁড় করিয়ে, তাকে নামতে হবে নতুন করে। নতুন কৌশলে। নতুন রুপে।
শুরুতে একজন নব্য ব্যবসায়ীকে বিশ্বাস করতে হবে, অন্যের ধারণাকে কাজে লাগানোয় কোন লজ্জা নেই। তবে সেটি হতে হবে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে। সবার সব বিষয়ে মৌলিক ভাবনা থাকবে, তেমনটি ভাবার যেমন কোন কারণ নেই, তেমনি কেবল মৌলিক ভাবনা না হলে কিছু করাও যাবে না, তেমনটিও ঠিক নয়। মনে রাখতে হবে, শুরুটা হতে হবে সুষ্ঠ পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে। সে নতুনই হোক, আর পুরনোই হোক। সঠিক পরিকল্পনার ছকে পরিশ্যম করতে পারলে সাফল্য নিশ্চিত আসবেই।
সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে। কিন্তু শিক্ষিত এসব মানুষের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে না তেমন কেউ। বেকারত্ব বাড়ছে গাণিতিক হারে। আর তাই চাকরির বাজারে ঘুরে ঘুরে হতাশায় ডুবে যাচ্ছে তরুণ সমাজ। বুদ্ধি আছে, শ্রম দেওয়ার ইচ্ছা আছে কিন্তু পথ চেনা নেই। তাই শ্রমশক্তির অপচয় হচ্ছে নানা সামাজিক অপরাধের মধ্য দিয়ে। পরিবারেও বাড়ছে অশান্তি। মুক্তির পথ জানা নেই, কিন্তু মুক্তি চাই। আমরা luckyideabd.com জানাচ্ছি আপনাকে সেই হতাশার জগৎ থেকে মুক্তির পথ। আমাদের ভুবনে আপনাকে স্বাগত।
আরো পড়ুন