প্রতিষ্ঠানের মালিক বা সিইউদের একটা অহং থাকে, তিনি যা দেখছেন, বুঝছেন সেটি-ই সব। তার পদস্থরা কিছু বোঝেন না। তাই তিনি যা বলবেন তাই হবে। এই ধারণা নিয়ে বেশির ভাগ মালিক পদস্থদের পরিচালিত করেন। মালিক বা প্রধান হিসেবে এক ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে চলেন। এভাবে সরাকে ধরা জ্ঞান করতে গিয়ে অনেক ক্ষতি এ লসের সম্মুখেও পড়েন এসব মালিক।
আর উল্টো দিকে যারা মালিক হলেও মনে করেন না নিজের চোখে যা দেখছেন সেটিই শ্রেষ্ঠ, তাদের বিষয়টি একটু আলাদা। কারণ স্বাভাবিক কারণেই মানুষ একটু গুরুত্ব পেতে চায়। তারও ভালো একটি মত থাকতে পারে। তাই একজন ভালো ব্যাবসায়ী কখনো সবকিছু নিজের চোখ দিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে না। তিনি অন্যকেও সুযোগ দিবেন।
ধরুন আপনি একটি কোম্পানী কিনবেন? তাহলে প্রথমে আপনি বিক্রেতার সঙ্গে আলাপ করুন। বুঝতে চেষ্টা করুন কেন তিনি প্রতিষ্ঠানটি দিয়েছিল? কেন চালাতে পারছে না? কেনই বা বিক্রিী করছে? আপনি এই প্রতিষ্ঠানটিকে ঘিরে তার আবেগ বোঝার চেষ্টা করুন। তার চোখ দিয়ে আপনি বিবেচণা করুন এটিকে। যদি আপনি তার আবেগকে বোঝেন তাহলে খুব সহজে আপনি কোম্পানীটি কিনতে পারবেন। দেখা যায়, ক্রেতারা অনেক সময় ভীষন অহংকার করে আর একটা সফল মানুষ এই ভাব রেখে কথা বলে। আর যিনি কোম্পানীটি বিক্রী করছেন তাকে একটু তাচ্ছিল্যের সঙ্গে দ্যাখেন।
এভাবে তাচ্ছিল্য প্রকাশ করলে বিক্রেতার মন খারাপ হয়ে যাবে। তিনি এরকম একজন অহংকারি ব্যবসায়ীর কাছে তার কোম্পানীটি বিক্রী নাও করতে পারেন। মনে রাখতে হবে, কোন কোম্পানীর বিক্রেতা কখনো শুধু কয়েকটি বেশি টাকার জন্য প্রতিষ্ঠান বিক্রী করবেন না। বরং তিনি তার পছন্দ মতো ক্রেতা পেলে অনেক বেশি ছাড় দিতে পারেন। এ জন্য প্রথমত বিক্রেতার মন মেজাজ বুঝে তার লক্ষ্য উদ্দেশ্যকে অনুভব করতে হবে।
একইভাবে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারিরদের বেলায়ও তাই। সব সময় নিজের দেখা বোঝাকে প্রাধান্য না দিয়ে তাদের কথা শুনুন। তাদের বোধকে নিজের চোখে দেখুন। অনেক সহজ হয়ে যাবে সবকিছু। এভাবে একনায়কতন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে অনেক কাজ সহজ হবে। আর কাজ সহজ হলে ব্যবসায় মুনাফা বাড়বে সহজে। সহজেই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারিরা মালিকের সঙ্গে ভালো চিন্তাটি শেয়ার করবে, প্রতিষ্ঠানের ভালো চাইবে।
এ বিষয়ে আরেকটু স্পষ্ট করে বলা যায়, সব কিছু নিজের মতো করে নিজের চোখ দিয়ে দেখলে পুরোটাই দেখা হয় না। তাই অন্যের চোখ দিয়েও মাঝে মাঝে দেখতে হয়। তাহলে অনেক জটিল কাজ সহজ হয়।
সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে। কিন্তু শিক্ষিত এসব মানুষের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে না তেমন কেউ। বেকারত্ব বাড়ছে গাণিতিক হারে। আর তাই চাকরির বাজারে ঘুরে ঘুরে হতাশায় ডুবে যাচ্ছে তরুণ সমাজ। বুদ্ধি আছে, শ্রম দেওয়ার ইচ্ছা আছে কিন্তু পথ চেনা নেই। তাই শ্রমশক্তির অপচয় হচ্ছে নানা সামাজিক অপরাধের মধ্য দিয়ে। পরিবারেও বাড়ছে অশান্তি। মুক্তির পথ জানা নেই, কিন্তু মুক্তি চাই। আমরা luckyideabd.com জানাচ্ছি আপনাকে সেই হতাশার জগৎ থেকে মুক্তির পথ। আমাদের ভুবনে আপনাকে স্বাগত।
আরো পড়ুন