একটি কোম্পানী বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে উন্নতির শিখরে তুলতে হলে সেই কোম্পানী বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারকে কৌশলী হতে হবে। কাজের লক্ষ্যমাত্রা ও মানদন্ড নির্ধারন করে না দিয়ে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারিকে নিজ থেকে কাজের লক্ষ্যমাত্রা ও মানদন্ড নির্ধারণের স্বাধীনতা দেওয়া হয়, তাহলে সেই কর্মকর্তা বা কর্মচারি কাজ করে স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করবে। অধিক কাজ করবে।
কিন্তুতাকে যদি কাজের মানদন্ড নির্ধারণ করে দেওয়া হয় তাহলে সে সেইটাকে অন্যের আইডিয়া হিসেবে গণ্য করবে। কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ আসবে না। বলে সে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। সব সময় তটস্থ থাকবে মালিকের বেধে দেওয়া কাজ ঠিকঠাক করে করে দিতে পারার জন্য।
আবার অনেক সিইও বা ম্যানেজার রয়েছেন, যারা পদস্থদের শুধু আদেশ দিতে পছন্দ করেন। কোনভাবেই কাজটি যে শুধু সিইওর নিজের না সেই জায়গা থেকে সরে আসতে পারেন না। সব সময় একটা মালিক এবং সবজান্ত াভাব বজায় রাখেন। আর একটা কাজ দেয়ার আগে এমনভাবে আদেশ করেন যেন তিনি সবকিছুই সবচেয়ে বেশি বোঝেন। এমনকি আদেশ দেওয়ার আগে বিজ্ঞ এবং জ্ঞ্যানীর মতো পরামর্শ দিতেই থাকেন। কাজটি কিভাবে করবে তারও ফরমুলা বাতলে দেন। এই কাজটি যে আরেকজন অন্যভাবে করতে পারে সেটি তিনি মেনেই নিতে চান না। মালিক বলে সব সময় একটা অর্ডারের মধ্যে রাখেন। এটা ঠিক নয়।
বরং কাজটাকে সুন্দর করে শেষ করতে কৌশলী হয়ে কাজের ধরণ এবং সময়টা বেঁধে দিতে হবে। এতে কর্মীটি তখন সে কাজটা সম্পন্ন করার জন্য নিজেই একটা পরিকল্পনা করবে। কাজটাকে নিজের মনে করবে। সেটি প্রতিষ্ঠানের কাজ হিসেবে না দেখে আন্তরিক হবে। কাজটাকে সফলভাবে শেষ করবে।
মানুষ সবসময় চ্যালেঞ্জ নিয়ে জয় করতে চায়। এ ক্ষেত্রে সরাসরি আদেশ হিতে বিপরীত হয়। কর্মক্ষেত্রে আদেশ বা অর্ডার বিরক্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। মালিকের সঙ্গে কর্মকর্তা কর্মচারিদের সম্পর্ক প্রভু আর চাকরে রূপ নেয়। প্রতিষ্ঠানকে কর্মকর্ত কর্মচারিরা আপন ভাবতে পারে না। এই দুরুত্ব থেকে কোম্পানী ভালো কিছু করতে পারে না।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হলো একজন সিইও যদি মনে করেন, চাহিদা অনুযায়ী পদস্থরা কাজটি দিতে পারছে তবে অযথা তাদের আদেশ বা পরামর্শ দেবেন না। এটাই হলো সঠিক সিদ্ধান্ত। আরও ভালো হয় কোন কাজের প্রসঙ্গ তুলে এটি সফল করার জন্য সাবলিলভাবে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া, কাজটি কিভাবে করা যায়? দেখবেন অনেক অনেক সহজ সুন্দর পথ বের হবে চ্যালেঞ্জটি সফল করতে।
সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে। কিন্তু শিক্ষিত এসব মানুষের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে না তেমন কেউ। বেকারত্ব বাড়ছে গাণিতিক হারে। আর তাই চাকরির বাজারে ঘুরে ঘুরে হতাশায় ডুবে যাচ্ছে তরুণ সমাজ। বুদ্ধি আছে, শ্রম দেওয়ার ইচ্ছা আছে কিন্তু পথ চেনা নেই। তাই শ্রমশক্তির অপচয় হচ্ছে নানা সামাজিক অপরাধের মধ্য দিয়ে। পরিবারেও বাড়ছে অশান্তি। মুক্তির পথ জানা নেই, কিন্তু মুক্তি চাই। আমরা luckyideabd.com জানাচ্ছি আপনাকে সেই হতাশার জগৎ থেকে মুক্তির পথ। আমাদের ভুবনে আপনাকে স্বাগত।
আরো পড়ুন