ভুল যে কেউ করতে পারে। হোকনা সে কোম্পানীর সিইও বা ম্যানেজার কিংবা মালিক। কাজেই এটা নিয়ে বেশি মাথা ঘামানোর কিছু নেই। ভুল করাটাকে স্বাভাবিকভাবেই দেখতে হবে। বরং ভুল স্বীকার করার সাহস এবং সততা থাকাকে মানুষের অন্যতম গুন হিসাবেই বিবেচনা করতে হবে। এটা এখন সারা বিশ্বই স্বীকার কে যে, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যায় মানুষ। ভুলকে লুকিয়ে লাভ নেই। কোন কেম্পানীর বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উন্নতি করার প্রথম যে পাঠ তা হলো দ্রুত ভুলকে স্বীকার করে তার সঠিক ব্যবস্থা নেয়া।
অনেক সময় দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বা ম্যানেজারের ভুলের কারণে কোম্পানীর অনেক বড় লোকসান হয়ে যেতে পারে। আর এ ক্ষেত্রে যদি চেয়ারম্যান ভুল স্বীকার না করে সেটি এড়িয়ে যান ? কিংবা পদস্থ কর্মকর্তাদের চাকরি খেয়ে মাথা ঠান্ড রাখতে চেষ্টা করেন। তাহলে সেটি হবে সবচেয়ে বড় ভুল। এখানে অন্য কোন সুযোগ নেই ভুলকে ঢাকার। ভুলটি যেই করুক না কেন তাকে অবশ্যই তা স্বীকার করে নিতে হবে। বিশেষ করে কোন প্রতিষ্টানের প্রধান যদি তার ভুল স্বীকার করার ক্ষেত্রে দম্ভ বা গোঁ ধরে থাকেন, তাহলে সমস্যা খুবই প্রকট হয়। আর সেটি যদি কর্মচারিরা বুঝতে পারে, তাহলে আরও বিপর্যয় ঘটে। কারণ কর্মচারিরা মনে করেন অফিস প্রধানের চারিত্রিক সংহতি নেই। তিনি একজন আত্মঅহংকারি মানুষ। এর থেকে যত দূরে থাকা যাবে ততই মঙ্গল।
উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে সহজ হতে পারেন না বলেই বসকে নিয়ে হরহামেশাই চলে সমালোচনা । ফলে তৈর হয় নানা ধরণের জটিলতা। কর্মচারিরা অফিস প্রধানের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেন। আবার দেরি করে ভুল স্বীকার করলেও বিরক্ত ও অধৈয্য হয়ে উঠে কর্মচারিরা। তারা ভাবে বস শেষ পর্যন্ত ভুল স্বীকার করতে বাধ্যে হয়েছেন।
কোন কোন অহংকারি মানুষের ধারণা থাকতে পারে, তারা কখনোই ভুল করেন না। আর যারা কখনো ভুল করেন না, তাদের সব মানুষ পছন্দ করে। কিন্তু এমন ধারণা একদম ভুল।
পদস্থ কর্মকর্তারা ভুল স্বীকার না করলে অধীনস্তরা তাদের ম্যানেজারিয়াল গাইডেন্স নিয়ে অনাস্থায় ভোগেন। এক সময় তার উপর পুরোপুরি আস্থা হারিয়ে ফেলেন কোম্পানীর কর্মিরা।
কোন কোম্পানী বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ভুল করলে নির্দ্ভিধায় বলিষ্ঠভাবে তা স্বীকার করলে উর্দ্ধতন কর্মকর্তার উপরা কর্মচারিদের আস্থা বেড়ে যায়। তখন তারা ভাবে মালিক হয়েও যিনি বলিষ্ঠভাবে নিজের ভুল স্বীকার করতে পারেন, তিনি আর যাই হোক তাদের আমানত নিয়ে নয় ছয় করবেন না। নিশ্চিন্ত মনে কাজ করে চলে তারা। কাজেই আপনি মালিক বা কর্মচারি যাই হোন আপিন মানুষ। আর সে জন্য আপনি ভুল করতে পারেন। আর ভুল স্বীকার করার মধ্য দিয়ে আপনার আশপাশের মানুষরা আপনাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করবে।সম্মান করবে। কাপুরুষ অন্তত ভাববে না।
সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে। কিন্তু শিক্ষিত এসব মানুষের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে না তেমন কেউ। বেকারত্ব বাড়ছে গাণিতিক হারে। আর তাই চাকরির বাজারে ঘুরে ঘুরে হতাশায় ডুবে যাচ্ছে তরুণ সমাজ। বুদ্ধি আছে, শ্রম দেওয়ার ইচ্ছা আছে কিন্তু পথ চেনা নেই। তাই শ্রমশক্তির অপচয় হচ্ছে নানা সামাজিক অপরাধের মধ্য দিয়ে। পরিবারেও বাড়ছে অশান্তি। মুক্তির পথ জানা নেই, কিন্তু মুক্তি চাই। আমরা luckyideabd.com জানাচ্ছি আপনাকে সেই হতাশার জগৎ থেকে মুক্তির পথ। আমাদের ভুবনে আপনাকে স্বাগত।
আরো পড়ুন