একটি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিকে দাঁড়া করানোর জন্যে মুনাফার প্রয়োজন। এটা আমরা সবাই জানি, কিন্তু এই মুনাফা কিছু ব্যাপারের উপর ভিক্তি করে আসে এটা জানে খুব কম লোক এবং খুব কম প্রতিষ্ঠানের মালিক। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের মালিকের থেকে বেশী সচেতন হতে হয় কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। পরিচালনা কমিটিতে যেসব কর্মকর্তা কর্মচারীরা কাজ করে তাদের সবসময় সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। অনেকে অনেক বুদ্ধিমান কিন্তু ব্যবসার ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে বুদ্ধি কাজে লাগানোর ক্ষমতা রাখে না। গুটি কয়েক কর্মকর্তা কর্মচারী এক্ষেত্রে পারদর্শী হয়ে থাকে। আর যারা পারদর্শী হয় তারাই এগুতে পারে উন্নয়নের পথে।
তাই আপনার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী নির্বাচনের জন্য মালিক হিসেবে আপনার বুদ্ধিমান কর্মকর্তা বেছে নেওয়ার ক্ষমতা অবশ্যই থাকতে হবে । কারণ হঠাৎ একটা সুযোগ আপনার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের আমূল পরিবর্তন এনে দিতে পারে। এ জন্য প্রয়োজন সুযোগের যথাচিৎ ব্যবহার। সুযোগ এলে অবহেলা না করে সেটিকে কাজে লাগাতে হবে অত্যান্ত দক্ষতার সাথে। আর সুযোগটি নিতে পারার মত ক্ষমতা অপনার কর্মকর্তা কর্মচারীদের থাকতে হবে । মালিক হিসেবে সব দিকে লক্ষ্য রাখা সবসময় সম্ভব নয়। তাই যোগ্য লোক নির্বাচন করে প্রতিষ্ঠানের দ্বায়ীত্ব ভাগ করে দিতে হবে। সুযোগ এলে হাতছাড়া করা যেমন অনুচিত তেমনি ভাবনা চিন্তা না করে সব সুযোগ গ্রহণ করাটাও অন্যায়। সব সুযোগ সব সময় আপনার ব্যবসার জন্য ভালো ফল বয়ে নাও আনতে পারে। অনেক সময় অনেক দক্ষ ব্যবসায়িও সুযোগের ভুল ব্যবহার করে ক্ষতির সম্মুখিন হন। এ জন্য সুযোগ আসলে সেটিকে যাচাই করে দেখা উচিত, আসলে এটা আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য কতটা উপকারী। এটা যাচাই করতে শিখতে হবে কর্তব্যরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের। তাহলে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে আরও অনেক সুযোগ বাগিয়ে আনতে পারবেন । সুযোগ বাছাই করে নেওয়ার জন্য পারদর্শী লোক আপনার থাকলে সাফল্য নিশ্চিত। অনেক সময় কর্মকর্তা কর্মচারীরা বুদ্ধিমান হওয়ার পরও বুদ্ধি খরচ করতে চায় না। ভাবে অন্যের জন্য কাজ করে কি লাভ। এক্ষেত্রে তাদের সাথে এমন আচরণ করতে হবে যেন তারা নিজেদেরকেও কম্পানি বা প্রতিষ্ঠান এর অংশ ভাবতে পারে। এক্ষেত্রে মালিক হিসেবে আপনার আচার আচরণ সহজ করত হবে।
সবসময় যে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন তা কিন্তু না। অনেক সময় হাতের নাগালের বাইরে চলে যাবে অনেক সুযোগ। কিন্তু এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে যেন আগামীতে এই ধরনের কোন সুযোগ হাতছাড়া না হয়। তাই কাজের হার কমিয়ে দিয়ে হাতছাড়া হওয়া সুযোগটি নিয়ে অন্তত কিছু সময়ের জন্য পর্যালোচনায় বসতে হবে। তাহলে এ রকম কোন সুযোগ আসলে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারিসহ আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন সুযোগটি আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য কতটা কল্যাণকর।
সব সময় একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, আপনার একটি ভালো সিদ্ধান্ত যেমন প্রতিষ্ঠানের আমূল পরিবর্তনে সহায়ক হবে তেমনি আপনার ভালো আচরণ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ভুমিকা রাখবে।
সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে। কিন্তু শিক্ষিত এসব মানুষের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে না তেমন কেউ। বেকারত্ব বাড়ছে গাণিতিক হারে। আর তাই চাকরির বাজারে ঘুরে ঘুরে হতাশায় ডুবে যাচ্ছে তরুণ সমাজ। বুদ্ধি আছে, শ্রম দেওয়ার ইচ্ছা আছে কিন্তু পথ চেনা নেই। তাই শ্রমশক্তির অপচয় হচ্ছে নানা সামাজিক অপরাধের মধ্য দিয়ে। পরিবারেও বাড়ছে অশান্তি। মুক্তির পথ জানা নেই, কিন্তু মুক্তি চাই। আমরা luckyideabd.com জানাচ্ছি আপনাকে সেই হতাশার জগৎ থেকে মুক্তির পথ। আমাদের ভুবনে আপনাকে স্বাগত।
আরো পড়ুন