একজন ব্যবসায়ীর সবচেয়ে বড় সম্পদ তিনি নিজেই। প্রতিটা মানুষের ভেতরেই রয়েছে ব্যবসা-বানিজ্য তথা অর্থনীতির সবগুলো সূচক ও সম্ভাবনা। একটি ব্যবসাকে দাঁড় করাতে যা কিছু বিনিয়োগ করা প্রয়োজন তার সবই রয়েছে প্রতিটি মানুষের নিজের ভেতরেই। নিজেকে সম্পদ ভাবলে, খালিহাতের সেই মানুষ একদিন পৌঁছে যেতে পারে সাফল্যের স্বর্ণশিখরে। হয়ে উঠতে পারেন সফল ব্যবসায়ী। পরিশ্রম আর বুদ্ধির সংযোগ স্থাপন করতে পারলেই নতুন নতুন ব্যবসার ধারণার বাস্তবায়ন করা সম্ভব সহজেই। প্রয়োজন অভিনব কৌশল আর পরিশ্রম।
শৈশবই একজন মানুষের অর্থনৈতিক শিক্ষা ও সংস্কৃতির মুল পাদপীঠ। সে হোক না যত ধনী কিংবা দরিদ্র মানুষ। শৈশবই একজন মানুষের অর্থনৈতিক শিক্ষা ও সংস্কৃতির মুল পাদপীঠ। কেননা তখন মাথা থাকে শুন্য। অভিজ্ঞতাহীন একজন শিশু। ভবিষ্যতের জন্য সেই শিশুকে এমন পরিবেশে ও কাজের মধ্য দিয়ে বড় করতে হবে, যেনো বড় হয়ে উপার্জনের ক্ষেত্রে, পথ চলার ক্ষেত্রে কোন বাঁধা বড় সংকট হয়ে না দাঁড়ায়।
মনে রাখতে হবে শৈশবই একজন মানুষের অর্থনৈতিক শিক্ষা ও সংস্কৃতির মুল পাদপীঠ। তখন মাথা থাকে শুন্য। অভিজ্ঞতাহীন একজন শিশু। সেই শিশুকেই এমন পরিবেশে ও কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে বড় করতে হবে, যাতে বড় হয়ে উপার্জনের ক্ষেত্রে কোন বাঁধা সংকট হয়ে দাঁড়ালে সে তা কাটিয়ে উঠতে পারে। শৈশবেই পাওয়া নানা অভিজ্ঞতা ধীরে ধীরে শিশুকে পরিপূণ্য মানুষে পরিণত করবে। তাকে উন্নীত করবে একজন পুর্ণ মানুষে। তবেই সে পারবে নিজেকে বিনিয়োগ করতে ব্যবসা-বানিজ্যে।
মনে রাখতে হবে জীবনের কোন ক্ষেত্রেই উদ্বেগ পিছু ছাড়তে চায় না। সকল উদ্বেগকে যুক্তি দিয়ে সড়িয়ে রাখার ক্ষমতা তৈরী করতে হবে। নানা রকম সংকট ব্যবসায়ীদের হরহামেশাই উদ্বিগ্ন করে তোলে।এটা স্বাভাবিক যে সকল ব্যবসায়িই চান মুনাফা, ঝুঁকিমুক্ত ব্যবসা-বানিজ্য। সেটি সঙ্গতও। কিন্তু সবসময় পরিকল্পা মাফিক চরা নাও হতে পপারে। সংকট বা উদ্বেগ আসতে পারে সে জন্য দুরদর্শী সম্পূর্ণ হতে হবে। সংকট বা ঝুঁকি উপলব্ধি করে, তা কাটিয়ে উঠার পদক্ষেপ নিতে হবে। বাস্তব ভিত্তিক বিচার বিশ্লেষন করে পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে হবে। নিজেকে তৈরি করতে হবে সুশিক্ষায়, সক্ষমতায়। শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, ঝুঁকি আছে, আসবেও। তাই বলে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। সুশিক্ষা ও সঠিক বিবেচনাবোধ, বিনিয়োগের পুঁজি থেকে মুনাফা এনে দেবে। সক্ষমতা বাড়াবে বানিজ্য বিস্তারে। তৈরি হবে নতুন ব্যবসার জায়গা। প্রতিযোগিতামূলক এই সময়েবে ব্যবসায় উন্নতির জন্য চাই অভিনব ভাবনা। নতুন নতুন কৌশল। যাতে ভোক্তা পাবে বিশেষ সুবিধা। মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারলে সেবার মুল্য নির্ধারনও করা যাবে নিজেদের মতো করে।
মনে রাখতে হবে, ব্যবসার ছোট বড় নেই। প্রকৃত ও বড় ব্যবসায়ী হতে হলে শুরুটা ছোট দিয়ে করতে হয়। অল্প পুঁজির বিনিয়োগে। পুঁজি সংগ্রহে পরিশ্রম করতে হবে। যোযোগ করতে হবে নানা প্রতিষ্ঠানে। ধৈর্য্য আর মেনাবল ধরে রেখে পরিশ্রম করতে পারলে ছোট্ট পুঁজি একদিন রুপ নেবে বড় বিনিয়োগে। বিনিয়োগকারী হতে চাইলে সবার আগে নিজেকেই ব্যবসা ভাবতে হবে। নিজের মুল্য বাড়াতে হবে। কেননা প্রত্যেক মানুষই অসীম সম্ভাবনাময় একেকটি প্রতিষ্ঠান। নিজের উপর বিশ্বাস আর আস্থা রাখতে হবে আর সেটিই হলো যে কোন ব্যবসার জন্য প্রথম বিনিয়োগ।
সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে। কিন্তু শিক্ষিত এসব মানুষের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে না তেমন কেউ। বেকারত্ব বাড়ছে গাণিতিক হারে। আর তাই চাকরির বাজারে ঘুরে ঘুরে হতাশায় ডুবে যাচ্ছে তরুণ সমাজ। বুদ্ধি আছে, শ্রম দেওয়ার ইচ্ছা আছে কিন্তু পথ চেনা নেই। তাই শ্রমশক্তির অপচয় হচ্ছে নানা সামাজিক অপরাধের মধ্য দিয়ে। পরিবারেও বাড়ছে অশান্তি। মুক্তির পথ জানা নেই, কিন্তু মুক্তি চাই। আমরা luckyideabd.com জানাচ্ছি আপনাকে সেই হতাশার জগৎ থেকে মুক্তির পথ। আমাদের ভুবনে আপনাকে স্বাগত।
আরো পড়ুন